মডিউলার কিচেন ডিজাইনের ৫টি টিপস-
আমরা বেশির ভাগ সময়ে রান্নাঘরের দিকে নজর দেই না। লিভিং রুম,ডাইনিং রুম আর বেডরুমে মধ্যেই ডেকোরেশন সীমাবদ্ধ রাখি। কিন্তু রান্নাঘরেরই স্থান অন্যান্য রুমের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রান্নাঘরের প্রতিটি জিনিস থাকতে হয় হাতের নাগালে। আর খেয়াল রাখতে হয় প্রত্যেক জিনিস যেন সবার ব্যবহারের জন্য সহজ হয়। আপনার রান্নাঘরের আকর্ষণীয় ইন্টেরিয়র ডিজাইন করতে জেনে নিন এই ৫টি টিপস।
১. কিচেন লে-আউটঃ
মডিউলার কিচেন এর ৪টি বেসিক লে-আউট –
i. ওপেন স্টাইল
ii. সমান্তরাল বা প্যারালাল স্টাইল
iii. এল (L)-আকৃতির স্টাইল
iv. ইউ (U)-আকৃতির স্টাইল
সবগুলো কিচেন স্টাইলেরই নিজস্ব স্পেস সেট-আপ রয়েছে । সিঙ্কের অবস্থান, রান্নার স্পেস এবং রেফ্রিজারেটর, একে অপরের পরিপূরক কিনা তা নির্ধারণ করে লে-আউট প্ল্যান করতে হবে।
২. আলো বাতাসের ব্যবস্থাঃ
কিচেনে অবশ্যই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচল নিশ্চিত করুন । কিচেনে ভালো আলো বাতাসের জন্য প্রসস্থ জানালা রাখতে পারেন। এতে আপনার রান্নাঘর ধোঁয়ামুক্ত থাকবে এবং কিচেনের পরিবেশ থাকবে সতেজ ও প্রানবন্ত।
৩. কিচেন ক্যাবিনেটঃ
কিচেন ক্যাবিনেট ডিজাইনের ক্ষেত্রে ক্যাবিনেট যাতে যথাযথ ফাংশন্যাবল হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । তবে কিচেন এক্সেসরিজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোথায় কোন এক্সেসরিজ ব্যবহার করবেন তা আগে থেকেই ঠিক করুন।
৪. কালারের ব্যবহারঃ
কিচেনের কাজের পরিবেশ কতটুকু মনোমুগ্ধকর ও আরামদায়ক হবে তা অনেকটাই নির্ভর করে কালার কম্বিশনের উপর। রান্নাঘরের রঙের ক্ষেত্রে, রঙ যত হালকা হবে ততই ভালো, কারন হালকা রঙে যেকোন ঘর স্বাভাবিকের চেয়ে বড় দেখায়। তবে খুব সহজে মেইনটেনেন্স অথবা পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন রাখা যায় এমন কালার ও মেটেরিয়ালস ব্যবহার করা উচিত।
৫. পাওয়ার পয়েন্ট বা বৈদ্যুতিক লাইনের ব্যবহারঃ
কিচেনে ইলেকট্রনিকস্ অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পাওয়ার পয়েন্ট রাখুন। আপনি যে ইলেকট্রনিকস্ অ্যাপ্লায়েন্সগুলো ব্যবহার করবেন এবং সেগুলো কিচেনের কোথায় রাখবেন, তা আগে থেকেই ভেবে রাখুন। এতে করে আপনি সঠিক জায়গায় পর্যাপ্ত পাওয়ার পয়েন্ট গুলো আগে থেকেই সেট করে নিতে পারবেন।